কলেজের জীবনে বৃষ্টিতে রোমান্টিক মুহূর্তের রোমাঞ্চকর গল্প ২পর্ব

প্রিয় পাঠক কলেজের জীবনে বৃষ্টিতে রোমান্টিক মুহূর্তের রোমাঞ্চকর গল্পের  ১নং পর্ব  ইতি মধ্যেই পাবলিস করা হয়েছে আসাকরি আপনাদের সকলে ভালো লেগেছে এখন আপনাদের সম্মুখে। কলেজের জীবনে বৃষ্টিতে রোমান্টিক মুহূর্তের রোমাঞ্চকর গল্পের দিতিয় পর্ব নেয়ি হাজির হলাম আসাকোরছি এই পর্ব টিও আপনাদের ভালো লাগবে। 

কলেজের জীবনে বৃষ্টিতে রোমান্টিক মুহূর্তের এর রোমাঞ্চকর গল্প  ২পর্ব

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক জিবন পত্র তে আপনাকে স্বাগতম আমাদের গল্প কিংবা আটিকেল গুলো ভালো লাগলে কমেন্ট কোরুন এর সাথে নিত্য নতুন গল্প পেতে আরো বেশি বেশি গল্প পাঠান গল্প পাঠাতে যোগাযোগ করুন জিবন পত্র এর সাথে। 

গল্প পড়ুন

পেইজসূচিপত্র পড়ার টেবিলে বসে ভাইয়ার দেওয়া ম্যাথটা করার জন্য সবে খাতা টা বের করেছি, অমনি ভাইয়া রুমে চলে আসলো। আমি খাতাটা লুকিয়ে ফেললাম। ভাইয়া রুমে এসেই চেয়ার টেনে বসে বললো, "কাল যে ম্যাথটা দিয়েছিলাম সেটা দেখা।" আমি ভয়ে ভয়ে উত্তর দিলাম, "ভাইয়া, অংকটা করতে মনে ছিল না।"

ভাইয়া আমার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললো, "কেন? কাল রাতে কোন প্রেমিকের কথা ভাবছিলি যে সামান্য একটা কাজ করতে দিয়েছিলাম সেটা ভুলে গেলি?" আমি চুপ করে রইলাম।

আমার উত্তর না পেয়ে ভাইয়া বললো, "আজকে বাসার সব কাজ করবি তুই। রাতের রান্নাটা তুই করবি।" আমি আস্তে করে বললাম, "ভাইয়া, আমি তো রান্না করতে পারি না।"

ভাইয়া বললো, "রান্না করতে না পারলে ৫০০ বার কান ধরে উঠবস করবি।" কথাটা শুনে আমি ভয়ে একটা ঢুক গিললাম। তারপর বললাম, "না না, আমি রান্না করতে পারবো।" 

ভাইয়া বললো, "এখন এই রুমটা মুছে দে।"

আমি ঘর মোছার জিনিসপত্র নিয়ে এসে রুমটা মুছা শুরু করলাম। একবার ভাইয়ার দিকে উঁকি দিয়ে দেখলাম ভাইয়া লাকসাহেবের মতো চেয়ারে বসে মোবাইল টিপছে আর আমাকে কাজের মেয়ের মতো খাটাচ্ছে। ইচ্ছে করছে বালতির পানিগুলো ভাইয়ার মাথায় ঢেলে দিতে। 

কলেজের জীবনে বৃষ্টিতে রোমান্টিক মুহূর্তের  রোমাঞ্চকর গল্প  ২পর্ব

অনেক সময় নিয়ে রুমটা মুছে বালতিটা কিচেন রুমে রেখে আসতে গেলাম। আমার হাতে বালতি দেখে মা আর জরিনা খালা হাসতে লাগলো। জরিনা খালাকে দেখে মনে হলো অনেক খুশি হয়েছে, কারণ আমি রুমটা পরিষ্কার করলে তাকে আর করতে হতো না।

কিছুক্ষণ পর ভাইয়া কিচেন রুমে এসে মাকে বললো, "মামী, আজ মিশ্মি একাই রান্না করবে।" কথাটা বলতে দেরি হয়নি, কিন্তু জরিনা খালার কিচেন রুম থেকে বের হতে দেরি হয়নি। সে সোজা ড্রয়িং রুমে গিয়ে টিভি অন করে সিরিয়াল দেখতে লাগলো। 

মা বললো, "সামির, মিশ্মি তো রান্না করতে পারে না।"

আম্মুর কথা শুনে আমি অনেক খুশি হলাম, ভাবলাম মা হয়তো আমার কষ্টটা বুঝতে পেরেছে তাই এই কথা বললো। কিন্তু আমার ভাবনা পুরপুরি ভুল প্রমাণিত করে মা বললো, "ও কি না কি রান্না করে বশবে পরে আমাদের সবার রাতের খাবার খাওয়া হবে না।"

নিজেরা খেতে পারবে না বলে না করছে। আমার আত্মসম্মানে লাগলো কথাটা, তাই আমি বললাম, "তুমি এখান থেকে চলে যাও তো মা। আমি তোমার থেকে অনেক ভালো রান্না করতে পারি।"

মা চলে গেল, কিন্তু ভাইয়া দেয়ালের সাথে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম, কি রান্না করা যায়। হঠাৎ মনে হলো বিরিয়ানি রান্না করলে অনেক ভালো হবে। কিন্তু বিরিয়ানি তো আমি রান্না করতে পারি না। মোবাইল দেখে রান্না করতে পারতাম কিন্তু ভাইয়ার সামনে মোবাইল দেখে রান্না করলে আমাকে আস্ত রাখবে না ভাইয়া। 

কিছুক্ষণ পর ভাইয়া বললো, "কি হলো? সং এর মতো দাঁড়িয়ে আছিস কেন? তাড়াতাড়ি রান্না কর, আমি যেনো রাতে খেয়ে বাসায় যেতে পারি।" আমি মনে মনে বললাম, "কেন? ফুপি কি রান্না করা না যে আমার রান্না করা খাবার তোমার খেয়ে যেতে হবে?"

একটা কল আসায় ভাইয়া কিচেন রুম থেকে বের হয়ে যেতেই আমি দৌড়ে রুমে গিয়ে মোবাইল নিয়ে আসলাম। ইউটিউবে বিরিয়ানি রান্না করা দেখে রান্না করতে লাগলাম। রান্না যখন শেষের দিকে, তখন ভাইয়া এসে হাজির হলো। আমি মোবাইলটা লুকিয়ে ফেললাম। তারপর কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে খাবার টেবিলে পরিবেশন করে রাখলাম। বাবা অফিস থেকে আসার পর সবাই একসাথে খেতে বসলাম। আপু তো বিরিয়ানি দেখে অনেক খুশি হলো কারণ বিরিয়ানি আপুর ফেবারিট খাবার। 

মা-বাবা খাবার মুখে দিয়ে অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইল। আমি ভয় পেয়ে গেলাম, ভাবলাম বিরিয়ানি রান্না হয়তো ভালো হয়নি। তাই একটু বিরিয়ানি মুখে দিয়ে দেখলাম, কিন্তু রান্না তো ভালোই হয়েছে।

মা আমাকে বলল, "তুই নিজে এটা রান্না করেছিস?" আমি রেগে বললাম, "না, ভূত এসে রান্না করে দিয়ে গেছে।" ভাইয়ার বাঁধা সত্ত্বেও সবাই আমার রান্নার প্রশংসা করলো। আজ পর্যন্ত ভাইয়ার মুখ থেকে আমার নামে কোন প্রশংসা বের হয়নি। 

খাওয়া দাওয়া সেরে রুমে এসে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম তখনি ভাইয়া এসে বললো, "এখনই ঘুমিয়ে পড়েছিস কেন? কাল যে ম্যাথটা দিয়েছিলাম সেটা এখন আমার সামনে করবি।" আমি অবাক হয়ে বললাম, "তার জন্য তো শাস্তি দিয়েছো, তাহলে আবার করতে যাবো কেন?" ভাইয়া বললো, "ওটা তো ভুলে যাওয়ার জন্য দিয়েছি। এখন যদি ম্যাথটা না পারিস তাহলে সারা রাত জাগিয়ে রাখবো। 

কলেজের জীবনে বৃষ্টিতে রোমান্টিক মুহূর্তের  রোমাঞ্চকর গল্প  ২পর্ব

আমার তখন অনেক ঘুম পাচ্ছিল, তাই সাহস করে বললাম, "তোমার যদি এতই পড়ানোর ইচ্ছে থাকে তাহলে নিজের বোন রিয়াকে পড়াও না কেন? আমার অপুকেও তো পড়াতে পারো।" 

ভাইয়া আমার কথা শুনে বললো, "ওরা কি তোর মতো গাধা নাকি?" আমি বললাম, "আমি মোটেও গাধা না। যথেষ্ট মেধাবী ছাত্রী।" ভাইয়া মুচকি হেসে বললো, "সেটা তো আমার পড়ানোর জন্য হয়েছিস। ভুলে গেছিস, ক্লাস সেভেনে থাকতে অংকে ফেল গেছিলি।" ভাইয়ার কথা শুনে আমি চুপসে গেলাম। চুপচাপ পড়ার রুমে গিয়ে অংকটা করে দেখালাম।

ভাইয়া চলে যাওয়ার পর রুমে এসে ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে কলেজ যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিলাম। তখন হঠাৎ মনে হলো আজ তো আপুকে আকাশ ভাইয়ার ফ্যামিলি থেকে দেখতে আসবে। ঠিক দেখতে আসবে না, একেবারে বিয়ের ডেট ফাইনাল করবে আজ। আকাশ ভাইয়া আর আপু দুজন দুজনকে ভালোবাসে। 

অনেক মানুষ যখন আসবে, নিশ্চয়ই অনেক কাজ থাকবে। তাই ঠিক করলাম আজ কলেজ যাবো না। কিচেন রুমে উঁকি দিয়ে দেখলাম মা আর জরিনা খালা নানারকম পদ রান্না করছে। 

আমি ড্রয়িং রুমে বসে টিভি অন করে মাকে খাবার দিতে বললাম। মা বিরক্তিকর ভাব নিয়ে খাবার দিয়ে গেল।

১০টার দিকে মোবাইলে ভাইয়ার কল আসতে লাগলো। আমি ফোনটা অফ করে কার্টুন দেখায় মনোযোগ দিলাম। কিন্তু ঠিক তার পনেরো মিনিট পর ভাইয়া আমাদের বাসায় এসে হাজির হলো।

কি চলবে?...........

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক জিবন পত্র এর প্রকাশিত কলেজের জীবনে বৃষ্টিতে রোমান্টিক মুহূর্তের রোমাঞ্চকর গল্প ২পর্ব।  আসা কোরছি খুব ভালো লেগেছে আগামিতে এই গল্পের তৃতীয় পর্ব আসবে। ততক্ষণ   পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন জীবন পত্রে এর সাথেই থাকবেন

যে কোন ধরনের আর্টিকেল পড়তে জীবনপত্র এর ক্যাটাগরি অনুসরণ করুন আপনার লেখা গল্পটি আমাদের সাথে শেয়ার করুন এমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন যেকোনো ধরনের আর্টিকেল ধন্যবাদ এই গল্পের তৃতীয় পর্ব পড়ার জন্য আমন্ত্রণ রইল। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জীবন পত্ররের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
Author Image
🎀 السلام عليكم
Admin for Jibonpatr Website
chat with me