কলেজের জীবনে বৃষ্টিতে রোমান্টিক মুহূর্তের রোমাঞ্চকর গল্প ১ পর্ব
কলেজের জীবনে বৃষ্টিতে রোমান্টিক মুহূর্তের রোমাঞ্চকর গল্প: প্রিয় পাঠক রোমাঞ্চকর গল্প পরতে আমরা সকলেই খুব আগ্রহী কিন্তু ভালো মানে রুমে টক গল্প লিখথে খুবি কম লোকেই পারেন গল্প শব্দ টা যতটা সহজ কিন্তু গল্প লেখা এক আকাস পরিমান কঠিন
তাই কিছু ভালোমানের লেখক ১টা দেশে পওয়া খুবি মুস্কিল তাই আজকে আপনাূের সাথে কিছু ভালো মানের লেখকের রুম্যনটিক গল্প শিয়ার কোরবো সুন্দর সুন্দর গল্প পরতে জিবন পতৰের সাথেই থাকুন। আৃাদের গল্প সেক্সনে গল্প প্রয়জন তাই গল্প পাটাতে ভুলবেন না।
জিবন পত্রে আপনাকে স্বাগতম। কলেজের জীবনে বৃষ্টিতে রোমান্টিক মুহূর্তের রোমাঞ্চকর গল্প এই পাটে থাকছে মোট ৭টি পর্ব ইনসাহ আল্লাহ এক এক করে সকল পর্ব আসবে।
পেইজ সূচিপত্র
গল্প :
কলেজ থেকে বাসায় ফিরছিলাম। হঠাৎ মাঝপথে বৃষ্টি শুরু হলো। বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য দৌড় দিলাম। সামনে থেকে একটি গাড়ি আসছিল যা বৃষ্টির কারণে দেখা যাচ্ছিল না। গাড়িটি যখন খুব কাছে চলে এল, তখন কে যেন আমাকে টেনে তার বুকের সাথে জড়িয়ে ধরলো। বুঝতে পারলাম এটি একটি পুরুষ। ভয়ে আমার হাত পা কাঁপতে লাগলো। সে আমাকে শক্ত করে ধরে রেখেছে। প্রায় পাঁচ মিনিট পর আমাকে ছেড়ে দিলো। ছাড়া পেয়ে তাকিয়ে দেখি এটি আমার ফুফাতো ভাই সামির। আমার থেকে ছয় বছরের বড়।
ভাইয়াকে এমন আচরণে অবাক হলাম, কারণ সে সবসময় রাগী থাকে আর আমাকে অনেক বকাবকি করে। এবার তাকিয়ে দেখি ভাইয়ার চোখ লাল হয়ে গেছে। যখন সে খুব রেগে যায় তখন এমন হয়। হঠাৎ ঠাশ করে আমার গালে একটি চড় দিলো। আমি গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। কিছু বললে হয়তো আরো চড় খেতে হবে।
ভাইয়া রাগী মুখে বলল, মামার কি এতই টাকার অভাব পড়েছে যে তোর বৃষ্টিতে ভিজে হেঁটে বাড়ি ফিরতে হবে? আমি কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম, ভাইয়া, হেঁটে আসতে ভালো লাগে।
ভাইয়া বলল, এখন যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটত তাহলে কী হতো? আর বৃষ্টির মধ্যে ছাতা ছাড়া এসেছিস কেন? নাকি ছেলেদের তোর এই ভেজা শরীর দেখানোর জন্য ইচ্ছে করেই ছাতা আনিসনি?
কথাটা শুনে রাগে মাথা গরম হয়ে গেল, কিন্তু কিছু না বলে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলাম। ভাইয়া বলল, এখনো এখানে দাঁড়িয়ে ভিজছিস, তাড়াতাড়ি আমার গাড়িতে গিয়ে বস। আমি দুমিনিটের মধ্যেই আসছি।
গাড়িতে গিয়ে বসলাম। ভিজে যাওয়ার কারণে শীত লাগছিল। কাচ দিয়ে উঁকি মেরে দেখি ভাইয়া ফোনে কার সাথে যেন কথা বলছে। বৃষ্টিতে ভেজার কারণে ভাইয়াকে অনেক সুন্দর লাগছে। এমনিতেই অনেক হ্যান্ডসাম ছেলে ভাইয়া। আমার বান্ধবীরা তো সামির ভাইয়া বলতেই পাগল। আমি অত সুন্দর না, সবসময় সাধারণভাবেই থাকি। অবশ্য ভাইয়ার জন্য বাধ্য হয়েই সাধারণ থাকতে হয় কারণ একটু সাজলে সে বলবে, দেখতে ভালো লাগে না, সাজলে একদম জোকারের মতো লাগে।
প্রায় পাঁচ মিনিট পর ভাইয়া একটি শপিং ব্যাগ দিয়ে বলল, মিশ্মি, পোশাকগুলো পাল্টে নিও, না হলে ঠান্ডা লাগবে। আমি ধুয়ে দাঁড়িয়ে থাকব। এই বলে ভাইয়া চলে গেল। ব্যাগটি খুলে দেখি সুন্দর একটি ফ্রক। গাড়িতেই পোশাকগুলো পাল্টে ভাইয়াকে ডাকলাম। ভাইয়া এসে কোনো কথা না বলে ড্রাইভিং শুরু করলো। পনেরো মিনিটের মধ্যেই বাসায় পৌঁছে গেলাম। গাড়ি থেকে নেমে ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করলাম, হঠাৎ তুমি ওদিকে কেন গিয়েছিলে ভাইয়া? ভাইয়া বলল, সেটা তোর না জানলেও চলবে। এই বলে চলে গেল।
বাসায় ঢুকে সোজা নিজের রুমে চলে গেলাম। রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বেস্ট ফ্রেন্ড নিহাকে কল দিলাম কিন্তু ফোনটা ওয়েটিংয়ে পেলাম। নিশ্চয়ই ওর বয়ফ্রেন্ড আবিরের সাথে কথা বলছে। আমার সব ফ্রেন্ডের বয়ফ্রেন্ড আছে, শুধু আমার নেই। কেউ আমাকে প্রপোজ করেইনি। একজন করেছিল কিন্তু পরের দিন তাকে আর দেখতে পাইনি।
মার ডাক শুনে খাবার খেয়ে এসে একটা লম্বা ঘুম দিলাম। বিকেলে সামির ভাইয়া পড়াতে আসল। সেই ক্লাস এইট থেকে ভাইয়া আমাকে পড়ায়। অন্য কোনো টিউটরের কাছে প্রাইভেট পড়তে দেই না। নিজের এত বড় অফিসের কাজ ফেলে কেন যে আমাকে পড়াতে আসে, সেটাই বুঝতে পারি না। হঠাৎ মনে হল, কালকের ম্যাথটা করিনি। এর শাস্তি যে অনেক ভয়াবহ হতে পারে সেটা আমি জানি।
কি চলবে?...............
জীবন পত্ররের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url